ইছামতীতে নিখোঁজের ২ দিন পর ৫ কেজি স্বর্ণ সহ পাচারকারীর মরদেহ উদ্ধার
তামিম হোসেন সবুজ” বেনাপোল (যশোর):গত রবিবার বেনাপোল অগ্রভুলোট সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের বড় একটি চালান নিয়ে ইছামতি নদী সাতরিয়ে পার হওয়ার সময় নিখোঁজ হয় মশিয়ার রহমান নামে এক চোরাকারবারি।
ঘটনার দিন থেকে ভারত-বাংলাদেশের বিজিবি- বিএসএফ যৌথ ভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালালেও দুই দিন পরে আজ বুধবার সকালে বেনাপোল অগ্রভুলোট ঘাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধারের পর ৫ কেজি ২শ ৭১ গ্রাম ওজনের ৪০ পিস স্বর্ণ উদ্ধার করে বিজিবি।
মশিয়ারের শরীরে উক্ত স্বর্ণের বার গুলো বিশেষ কায়দায় বাঁধা অবস্থায় ছিলো। সে শার্শা উপজেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত গোলাম রহমানের ছেলে। ধারণা করা হচ্ছে নদীতে খুববেশি পানি না থাকলেও স্বর্ণের ভারে সে ডুবে গেলে জোয়ারের স্রোতে তার লাশ অগ্রভুলোট ঘাটে গিয়ে পৌছায়।
মশিয়ারের স্বজনরা জানান, রবিবার দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় জামাল, রহিম বক্স ও তার ছেলে হাবিব বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় মশিয়ারকে। একঘন্টা পরে এসে বলে মশিয়ার ইছামতি নদী পার হওয়ার সময় ডুবে গেছে। এসময় তারা দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মুহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, মরদেহটি শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।
শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, মশিয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম পক্রিয়াধীন রয়েছে।
রাতে ও দিনে প্রতিনিয়ত এভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে পাচার হচ্ছে স্বর্ণের বড় বড় চালান। পাচারের সাথে জড়িত ছোট খাট চোরাকারবারিরা কেউবা ধরা পড়ে, আবার কারো জীবন এভাবে মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে স্বর্ণ পাচারের প্রকৃতি রাঘব বোয়ালরা।